ইসলাম: ইসলাম ধর্ম: ইসলাম কি: ইসলামের সূচনা: ইসলামের মূল শিক্ষা ও ইসলামিক জীবন বিধান

ইসলাম: ইসলাম ধর্ম: ইসলাম কি: ইসলামের সূচনা: ইসলামের মূল শিক্ষা ও ইসলামিক জীবন বিধান


Islamic blog banner with illustrations, Kaaba, Masjid an nabawi, Masjid al aqsa – and text – Islam, History, Learning, Life – promoting – Smart Blog Zone – Read this blog about Islamic knowledge and history  ইলাস্ট্রেশন সহ ইসলামিক ব্লগ ব্যানার, কাবা, মসজিদ আন নববী, মসজিদ আল আকসা - এবং লেখা - ইসলাম, ইতিহাস, শিক্ষা, জীবন - প্রচার - স্মার্ট ব্লগ জোন - ইসলামিক জ্ঞান এবং ইতিহাস সম্পর্কে এই ব্লগটি পড়ুন


ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম যা মানুষকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে উৎসাহিত করে ✔

আজকের এই ব্লগে আপনি জানতে পারবেন:
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে, ইসলাম কি, ইসলামের সূচনা, ইসলামের সংজ্ঞা, পবিত্র কোরআনের গুরুত্ব, পবিত্র হাদিসের গুরুত্ব, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ, ইসলামের নৈতিক শিক্ষা, ইসলামি জীবন, ইসলামি বিধান, আধুনিক জীবনে ইসলামের প্রভাব সম্পর্কে। যারা ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য আজকের এই ব্লগটি একটি তথ্যবহুল লেখা।

ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়। বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক ও সহজ দিকনির্দেশনা দেয়। ইসলামের মূল বার্তা হল: আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং মানবতার প্রতি দয়া ও সমাজে সত্য ন্যায়বিচার। ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষা আজো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে।

এই ব্লগে আলোচনা করা হয়েছে কীভাবে ইসলাম শান্তির বার্তা দেয় এবং কেন আজকের বিশ্বে ইসলামের শিক্ষা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আজকের এই ব্লগটি > ইসলামের সৌন্দর্য ও ইসলামের বাস্তবতার উপর আলোকপাত করবে।

ইসলাম কী?

ইসলাম একটি আরবি শব্দ এবং যার অর্থ হলো: আত্মসমর্পণ বা শান্তি। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা বিশ্বাস করে একজনই হলেন সৃষ্টিকর্তা আর তিনি হলে আল্লাহ। ইসলাম আরো বিশ্বাস করে আল্লাহ আছেন এবং তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্যই হচ্ছে প্রকৃত ধর্মাচরণ। ইসলামের অনুসারীদের বলা হয় মুসলিম বা মুসলমান।

ইসলামের সূচনা

ইসলাম একটি ঐশী ধর্ম যার মূল সূচণা হয় পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই। হযরত আদম (আ.) এর মাধ্যমে।

আর ইসলামের শেষের সূচণা হয় > ৭ম শতকে আরব উপদ্বীপের মক্কা নগরীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে সূচনা লাভ করে। তিনি ৬১০ খ্রিস্টাব্দে হিরা গুহায় আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি লাভ করেন। এখান থেকেই ইসলামের নবযাত্রা শুরু হয়।
পবিত্র কোরআন, যা আল্লাহর বাণী হিসেবে জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে নাজিল হয়, ইসলামের মূল ভিত্তি। ইসলামের প্রথম দিকে মুসলমানরা প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখোমুখি হলেও, ধীরে ধীরে এই ধর্ম মক্কা থেকে মদিনা এবং পরে গোটা আরব উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। ৬২২ সালে মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করেন, যা ইসলামী ক্যালেন্ডারের সূচনা।
ইতিহাস বলে, মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই ইসলাম বিস্তৃত হয় পারস্য, বাইজান্টাইন, মিশর, উত্তর আফ্রিকা ও স্পেন পর্যন্ত। ইসলামী সভ্যতা জ্ঞান, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, সাহিত্য ও নৈতিক শিক্ষায় এক সোনালি যুগ সৃষ্টি করে।
ইসলামের ইতিহাস কেবল ধর্মীয় নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক। খিলাফত ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাশিদুন, উমাইয়া ও আব্বাসীয় খিলাফতের সময় ইসলামিক সাম্রাজ্য চরম শিখরে পৌঁছে।
বর্তমানে ইসলাম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম, যার অনুসারী প্রায় ২০০ কোটির বেশি। ইসলামের ইতিহাস মানবতার জন্য শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্যের বার্তা বহন করে।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ: ইসলামী জীবনের মূল ভিত্তি

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ ➤ আরবি: أركان الإسلام‎ মুসলিম জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।

এই ইসলামের মূল ভিত্তিগুলো: বিশ্বাস এবং ইবাদত ও নৈতিক আচরণের মৌলিক নির্দেশনা প্রদান করে। প্রতিটি মুসলমানের জন্য এই স্তম্ভগুলো পালন করা ফরজ মানে আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক এবং এগুলোর মাধ্যমে একজন মানুষ পরিপূর্ণ ইসলামী জীবন গঠন করতে পারে। আর এই পাঁচটি ভিত্তি ছাড়া একজন মানুষ কখনো পরিপূর্ণ মুসলিম হতে পারে না।

১/ কালেমা ➤ ঈমান বা বিশ্বাস

এই স্তম্ভের মূল কথা হলো:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
অর্থাৎ – আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ বা উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
কালেমা > ইসলামের প্রধান বিশ্বাস এবং একজন মুসলমানের মূল পরিচয়।

২/ সালাত ➤ নামাজ

এই স্তম্ভের মূল কথা হলো:
প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত বা পাঁচবার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। নামাজ > আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর স্মরণ ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যম।

৩/ সাওম ➤ রোজা

এই স্তম্ভের মূল কথা হলো:
রমজান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত অর্থাৎ সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ও ভোগবিলাস থেকে বিরত থাকা। রোজা > আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সহানুভূতি আর তাকওয়া অর্জনের উপায়।

৪/ জাকাত ➤ দান বা সাদকা

এই স্তম্ভের মূল কথা হলো:
নিজের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ অর্থাৎ সাধারণত ২.৫% গরীব ও অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা। যাকাত > সামাজিক সাম্য ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার।

৫/ হজ ➤ পবিত্র মক্কা ভ্রমণ ও পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ

এই স্তম্ভের মূল কথা হলো:
সক্ষম অর্থাৎ যাদের টাকা পয়সা আছে। সেই সকল মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার হজ্জ পালন করা ফরজ।
হজ্জ > ইসলামী ঐক্য এবং আত্মসমর্পণ ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক।

ইসলামের ভিত্তিতে কোরআন ও হাদীসের গুরুত্ব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। যার মৌলিক দুটি ভিত্তি হলো পবিত্র কোরআন এবং পবিত্র হাদীস শরীফ। এই দুটি উৎস মুসলিম জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। বিশ্বাস, ইবাদত, নৈতিকতা এবং ইসলামি আইন কানুনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

কোরআনের গুরুত্ব:

কোরআনুল কারীম হলো আল্লাহর নাজিলকৃত বাণী।
যা হযরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ট মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়। পবিত্র কুরআনুল কারিম মানবজাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন। যেখানে: আখলাক, ইবাদত, পরিবার, সমাজ, অর্থনীতি, বিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে।
আল্লাহ বলেন: এই কিতাব > এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর মুত্তাকিদের জন্য এই কিতাব পথনির্দেশক।
সূরা বাকারা: আয়াত – ২


হাদীসের গুরুত্ব:

হাদীস শীফ হলো মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর পবিত্র বাণী এবং মহানবী (সা.) সকল কাজ এবং মৌন সম্মতির সংকলন। কোরআনের পর হাদীস ইসলামের দ্বিতীয় প্রধান উৎস। কোরআনের অনেক আয়াতের বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পদ্ধতি হাদীস থেকেই জানা যায়।
সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সহীহ তিরমিযী, সহীহ ইবনে মাজাহ ইত্যাদি হাদীস সংকলন ইসলামী জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।

কুরআন ও হাদিসের গুরুত্ব সংক্ষেপে:

কোরআন হচ্ছে ইসলামের মূল আইন ও পথনির্দেশ।
হাদীস হচ্ছে কোরআনের বাস্তব প্রয়োগ ও প্রাকটিক্যাল ব্যাখ্যা।

কুরআন ও হাদিস উভয়ই ইসলামী শরীয়াহ এবং ইবাদত ও নৈতিক জীবনের ভিত্তি।

ইসলামের নৈতিক শিক্ষা: মানবতার আদর্শ পথ

ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ নৈতিক জীবনব্যবস্থা। ইসলামের নৈতিক শিক্ষা মানুষকে সত্যবাদিতা, ধৈর্য, সহানুভূতি, দানশীলতা, ন্যায়বিচার ও বিনয়ী আচরণের প্রতি উৎসাহিত করে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: আমি নৈতিক চরিত্র পরিপূর্ণ করতে প্রেরিত হয়েছি।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক –

ইসলামে সততা ও ইসলামে বিশ্বস্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিথ্যা কথা বলা, প্রতারণা, গীবত, অহংকার কঠোরভাবে ইসলামে নিষিদ্ধ। পারস্পরিক সহানুভূতি, প্রতিবেশীর হক আদায় এবং পশু পাখির প্রতি দয়াশীল হওয়ার নির্দেশ রয়েছে ইসলামে।

কোরআনুল কারীমে বলা হয়েছে:
নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার এবং সৎকর্ম ও আত্মীয়তার হক আদায়ের আদেশ দেন।
সূরা নাহল: আয়াত – ১৬

এই নৈতিক মূল্যবোধ শুধু ব্যক্তিজীবন নয়! বরং সমাজে শান্তি, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আধুনিক জীবনে ইসলামের প্রভাব: শান্তি, নৈতিকতা ও সমাজগঠন

ইসলাম কেবল অতীতের ধর্মীয় আন্দোলন নয়!
ইসলাম আজও আধুনিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি, বৈশ্বিকরণ, সামাজিক পরিবর্তনের যুগেও ইসলাম তার মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা আর মানবিক নির্দেশনার মাধ্যমে আধুনিক সমাজে স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য আনে।

ইসলামের শিক্ষা যেমন: সততা, ন্যায়বিচার, দয়া, পারস্পরিক সহানুভূতি ও সাম্য > এগুলো আধুনিক সমাজে সামাজিক বন্ধন জোরদার করে। পরিবার ব্যবস্থায় ইসলামের গুরুত্ব আজও দৃশ্যমান। যেখানে পিতা, মাতা, সন্তান ও আত্মীয়দের প্রতি দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে নির্ধারিত।

ব্যবসা বাণিজ্যে ইসলামী শরীয়াহভিত্তিক নীতিমালা যেমন: সুদবিরোধিতা ও হালাল আয়ের প্রতি গুরুত্ব একটি ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলে।

আধুনিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশগত চিন্তাতেও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে অনন্য। পরিচ্ছন্নতা, সময়ানুবর্তিতা, জ্ঞানার্জনের গুরুত্বসহ সবদিকেই ইসলামের প্রভাব বিস্তার রয়েছে।

আজকের জগতে ইসলাম শুধুই একটি ধর্ম নয়। বরং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শন যা মানুষকে শান্তি, ভারসাম্য, মানবতাবোধের পথে পরিচালিত করে।

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষ: নারী ও পুরুষের মর্যাদা এবং নারী ও পুরুষের দায়িত্ব

ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়কেই আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে সবাইকে সমান মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী করেছে। ইসলাম বিশ্বাস করে: নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক > কিন্তু প্রতিযোগী নয়। উভয়ের জন্যই রয়েছে ইবাদত, নৈতিকতা, শিক্ষা ও আচার আচরণের নির্দিষ্ট নির্দেশনা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন:
আমি তোমাদের পুরুষ ও নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছি। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি > যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি।
সূরা হুজরাত: আয়াত – ৪৯

এই কুরআনের আয়াত স্পষ্ট করে যে: আল্লাহর কাছে মর্যাদার ভিত্তি হলো: তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্থাৎ লিঙ্গ নয়। ইসলাম নারীকে দিয়েছে শিক্ষা, সম্পত্তির অধিকার, বিবাহের স্বাধীনতা এবং মাতৃত্বকে দিয়েছে ইসলামের সর্বোচ্চ মর্যাদা।

অন্যদিকে, পুরুষকে পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি কর্তৃত্ব নয় > বরং দায়িত্ব ও জবাবদিহির বিষয়। নারীও কর্মজীবী হতে পারে। তবে ইসলামের নিয়মকানুন অনুযায়ী শালীনতা ও ইসলামিক আদর্শ মেনে।

মহানবী (সা.) বলেছেন:
তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম। যে নিজের স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণ করে।
সহীহ তিরমিযী –

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। যা মানুষকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও মানবতার প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালনের শিক্ষা দেয়। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা জানলে বিশ্বে শান্তি ও সৌহার্দ্য আরো সহজেই প্রতিষ্ঠা পাবে।





আরো পড়ুন ➤






FAQ ইসলাম সম্পর্কে আপনার সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

ইসলাম কীভাবে শান্তির ধর্ম?

ইসলাম মানুষকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং ন্যায়বিচার ও মানবতার প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়। আর ইসলামের সঠিক অনুসরণ ও অনুকরণে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভাতৃত্ব, সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। আর এর জন্যই ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম

ইসলামে নারীর অধিকার কীভাবে সংরক্ষিত?

ইসলামে নারীর অধিকার অত্যন্ত সম্মানের সাথে সংরক্ষিত রয়েছে। নারী পায় শিক্ষা, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, বিবাহ ও তালাকের অধিকার। মা হিসেবে নারীর মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। স্বামী, ভাই, পুত্রদের কাছে তার দায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। কোরআন ও হাদীসে নারীর প্রতি সদাচরণ এবং নিরাপত্তা ও সম্মান প্রদানের স্পষ্টভাবে নির্দেশ রয়েছে। সমাজ ও পরিবারে নারীর ভূমিকা ইসলাম অত্যন্ত বেশি সম্মানের সঙ্গে মূল্যায়ন করে।

কোরআন কীভাবে আল্লাহর বাণী?

কোরআন হলো ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। যা সরাসরি আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে হজরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নিকট অবতীর্ণ হয়। এটি ২৩ বছরে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ধাপে ধাপে নাজিল হয়। কোরআনের ভাষা এবং বক্তব্য ও অলৌকিকত্ব প্রমাণ করে যে পবিত্র কুরআন মানবসৃষ্ট নয়। আল্লাহ নিজেই বলেছেন: এটি সেই কিতাব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তাই পবিত্র কোরআন নিঃসন্দেহে আল্লাহর বাণী। যা সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার প্রতিক।

একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবন কেমন হওয়া উচিত?

একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবন হওয়া উচিত: ইবাদত কেন্দ্রিক, সৎকর্মে ভরপুর, সততা, সহানুভূতি এবং পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধে পরিপূর্ণ। তিনি অন্তরে আল্লাহর ভয় নিয়ে চলবেন। ইসলামিক শিষ্টাচার মানবেন এবং পরিবার ও সমাজে ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলে লোক সমাজে শান্তির বার্তা ছড়াবেন। আর এভাবেই একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবন হওয়া উচিত।

ইসলাম অন্য ধর্মের প্রতি কী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে?

ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। ইসলাম অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সম্মান, সহমর্মিতা ও ন্যায়বিচার প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়। কোরআনে বলা হয়েছে:
ধর্মের বিষয়ে কোনো জবরদস্তি নেই।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও অমুসলিমদের সঙ্গে চুক্তি এবং সহাবস্থান ও সদাচরণের আদর্শ স্থাপন করেছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক ব্যক্তির বিশ্বাসের স্বাধীনতা আছে। তবে ইসলাম সত্যের দিকে আহ্বান জানায় জ্ঞান ও যুক্তি আর সদ্ব্যবহার দিয়ে। অতএব, ইসলাম অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি দয়াশীলতা ও শান্তিপূর্ণ অস্থানের শিক্ষা দেয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post