ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কী করবেন? ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেন হয়? ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কীভাবে তৈরি হয়? কীভাবে সমাধান করতে হবে আর জেনে নিন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী
আজকের আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোগ নিরাময়ের জন্য ঔষধ অপরিহার্য কিন্তু অনেক সময় এই ঔষধই হয়ে দাঁড়াতে পারে নতুন সমস্যার কারণ! আশ্চর্যের কথা!!!!! কিন্তু প্রায় সব ঔষধেরই থাকে কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মানে Health Side Effects আর তাই জানা দরকারঃ ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেন হয়? এবং ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে করণীয় কী?
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ ঔষধের সাধারণ থেকে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আর প্রতিক্রিয়া হলে তাৎক্ষণিক করণীয় বিষয় এবং কবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ইত্যাদি📍
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী আর কীভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কাজ করে?
ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেন হয়?
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ কী কী?
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে তবেঃ কিছু সাধারণ লক্ষণ দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব যেমন ধরেনঃ মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা, বমি বা বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি, চোখ বা মুখ ফোলা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ঘুম ঘুম ভাব বা অতি উত্তেজনা ইত্যাদি আবার কিছু ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া আর রক্তচাপ পরিবর্তন বা মানসিক বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো হালকা কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত পাশাপাশিঃ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ গুরুতর হলে খুবই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বা অত্যন্ত জরুরী।ঔষধের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী যেগুলো অবহেলা করা উচিত নয়
কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতটাই গুরুতর হতে পারে যে সেগুলো অবহেলা করলে জীবনঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে যেমনঃ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মুখ বা ঠোঁট বা গলা ফোলা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা বা ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, মানসিক বিভ্রান্তি, ত্বকে বড় আকারের ফুসকুড়ি বা র্যাশ, চোখে ঝাপসা দেখা, রক্তপাত বা প্রস্রাবে রক্ত আসা ইত্যাদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ঔষধ বন্ধ করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা জরুরি। নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ হবে।ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কী করা উচিত?
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। হালকা প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ বন্ধ না করে তাকে বিস্তারিত জানান। গুরুতর প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে যেমনঃ শ্বাসকষ্ট বা ফোলা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আশঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে ঔষধ বন্ধ করে নিকটস্থ হাসপাতালে যান। প্রতিক্রিয়ার ধরন আর সময় লিখে রাখুন যাতে ভবিষ্যতে চিকিৎসককে জানানো যায়। কোনো অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে তা আগেই চিকিৎসককে জানান। কখনোই নিজের ইচ্ছামতো ডোজ পরিবর্তন বা নতুন ঔষধ শুরু করবেন না। সচেতনতা আর দ্রুত সিদ্ধান্তই পারে জীবনের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে।কীভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যায়?
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত বা কম ডোজ পরিহার করুন এবং পূর্বের অ্যালার্জি বা রোগের ইতিহাস চিকিৎসককে জানান। একাধিক ঔষধ একসঙ্গে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের অনুমতি নিন। ঔষধের নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন এবং সময়মতো খাবেন। কোনো সন্দেহ হলে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। বিশেষ করেঃ অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে ঔষধ শুরু করবেন না! সঠিক ব্যবহার আর সচেতনতা আর নিয়মিত পর্যবেক্ষণই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর মূল চাবিকাঠি।পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা
অনেকে মনে করেনঃ সব ঔষধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় যা সব সময় সত্য নয় আবার কেউ কেউ ভাবেনঃ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মানেই ঔষধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত অথচ এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করা বিপজ্জনক হতে পারে। আরো একটি ভ্রান্ত ধারণা হলোঃ হারবাল বা প্রাকৃতিক ঔষধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না কিন্তু সেগুলোর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যেঃ একবার যে ঔষধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি তা সবসময় নিরাপদ থাকবে যা একেবারেই ঠিক নয়। এইসব ভুল ধারণা এড়িয়ে সচেতনভাবে ঔষধ গ্রহণই নিরাপদ পথ।👉 ঔষধ আমাদের রোগ নিরাময়ের উপায় কিন্তু সচেতন না হলে তা হতে পারে বিপদের কারণ আর তাইজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন আর প্রতিটি প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব দিন পাশাপাশিঃ নিজে সচেতন থাকুন আর আপনার পরিবারকে বা আশেপাশের সবাইকে সতর্ক করুন📍
📢 আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন আর আমাদের সাইটে নিয়মিত আসুন আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট পেতে📍
FAQ মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন আর উত্তর
📢 আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন আর আমাদের সাইটে নিয়মিত আসুন আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট পেতে📍
FAQ মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন আর উত্তর
সকল মেডিসিনে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে?
না, সব ঔষধে নয়, তবে অধিকাংশ ঔষধে সম্ভাবনা থাকে। কারো ক্ষেত্রে হয়, কারো হয় না।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতক্ষণ থাকে?
অনেক সময় কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্থায়ী হতে পারে।
ঔষধের কাভারে লেখা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি হয়?
না, সেগুলো সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া। সব ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ঘটে না।
ঔষধের কি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জরুরি হাসপাতালে যেতে হবে?
শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোক ফোলা বা রক্তপাত হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে।