আশুরা! আশুরার দিনে কী ঘটেছিল? জানুন আশুরার ইতিহাস আর আশুরার গুরুত্ব

আশুরা! আশুরার দিনে কী ঘটেছিলো? জানুন আশুরার ইতিহাস আর আশুরার গুরুত্ব


Mosque silhouette with crescent moons during twilight sky – Islamic background for Muharram and Ashura post

Ashura! What happened on the day of Ashura? Know the history of Ashura and its importance




আশুরা ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন
আশুরা শব্দটির আরবি عشرة অর্থাৎ আশারা থেকে এসেছে আর যার অর্থ হলো দশ!
মহররম মাসের ১০তম দিনটিকে বলা হয় আশুরা। আশুরা হলো ইসলামী ইতিহাসের এক মহাস্মরণীয় আর শোকাবহ এবং শিক্ষনীয় একটি দিন📍

আশুরার এই দিনে অনেক ঘটনা ঘটেছে যেমন:
এই দিনে হযরত আদম (আঃ) এর তাওবা আল্লাহ কবুল করেন! হযরত ইদ্রিস (আঃ) আকাশে উত্তোলন করা হয়! হযরত নূহ (আঃ) এর জুদি পাহাড়ে নৌকার অবতরণ হয়! হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আগুন থেকে মুক্তি পান! হযরত আইয়ুব (আঃ) এর রোগ থেকে মুক্তি হয়! হযরত মূসা (আঃ) ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি পান! হযরত ইউনূস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান! হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর প্রিয় পুত্র হযরত ইউসূফ (আঃ) ফিরে পান! হযরত ঈসা (আঃ) কে আসমানে উত্তোলন করা হয় এবং কারবালার ময়দানে হযরত হোসাইন (রাঃ) তার পরিবার সহ শাহাদাত বরণ করেন।

এছাড়া: আশুরার দিনে কিছু অতিরিক্ত ঘটনা বিভিন্ন ইসলামি ইতিহাস আর তাফসিরে উল্লেখ রয়েছে তার মতামতের ভিত্তিতে আরো যে সকল ঘটনা ঘটেছে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
যেমন: হযরত ইউসুফ (আঃ) কে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়! হযরত সুলাইমান (আঃ) কে রাজত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়! হযরত নবী করিম (সাঃ) মদিনায় এসে ইহুদিদের আশুরা পালন করতে দেখেন! জান্নাত আর জাহান্নাম সৃষ্টি হয়!

মুসলিমরা এই আশুরার দিনে নফল রোজা রেখে আর নফল নামাজ পড়ার পাশাপাশি: নফল ইবাদতে মশগুল হন📍

এই আশুরার দিনে সংঘটিত সকল ঘটনাগুলোর মাধ্যমে মুসলমানদের জীবনে বিশ্বাস, ত্যাগ, শিক্ষা, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান আর ধৈর্যের এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে📍

আজকের এই ব্লগে আশুরার ইতিহাস, আশুরার গুরুত্ব, আশুরার তাৎপর্য, আশুরায় পালনীয় কাজ আর কারবালার শিক্ষা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে! ইসলামের আলোকে সত্য ও ত্যাগের প্রতীক আশুরা আমাদের জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। আশুরা উপলক্ষে যেসব ভুল রীতি প্রচলিত আছে তা থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে📍 



আশুরার ইতিহাস? আশুরার দিনে কী কী ঘটনা ঘটেছিলো?

History of Ashura? What events happened on the day of Ashura?
আশুরা অর্থাৎ মহররম মাসের দশম দিন ইসলামী ইতিহাসে এক অলৌকিক আর মর্যাদাপূর্ণ দিন।

এই দিনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা মানবজাতির জন্য উপদেশ আর শিক্ষা এবং ঈমান বৃদ্ধি করার অনুপ্রেরণা বহন করে📍

হযরত আদম (আঃ) এর তাওবা কবুল হয়

আশুরার দিন হযরত আদম (আঃ) আল্লাহর দরবারে তাওবা করেন এবং আল্লাহ তা কবুল করেন। এটি আল্লাহর রহমত আর ক্ষমাশীলতার বড় নিদর্শন📍


হযরত ইদরিস (আঃ) কে আকাশে উত্তোলন

এই দিনে হযরত ইদরিস (আঃ) কে আল্লাহ বিশেষ মর্যাদায় আকাশে উত্তোলন করেন! যা তাঁর আল্লাহপ্রেম আর ঈমানের ফল📍


হযরত নূহ (আঃ) এর জুদি পাহাড়ে নৌকার অবতরণ হয

মহা প্লাবনের পর হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা জুদি পর্বতে অবতরণ করে! এই ঘটনাটি আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি প্রমাণ📍


হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে আগুন থেকে মুক্তি

নমরুদের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর আল্লাহর হুকুমে আগুন ঠান্ডা হয়ে যায়! এটি একটি তাওহিদের শক্তিশালী উদাহরণ📍


হযরত আইউব (আঃ) এর রোগ থেকে মুক্তি লাভ

দীর্ঘ রোগভোগের পর হযরত আইউব (আঃ) আশুরার দিন আরোগ্য লাভ করেন! এটি হলো আল্লাহর প্রতি ধৈর্য আর ভরসার একটি জলন্ত উদাহরণ📍

➡️ হযরত মূসা (আঃ) আর ফেরাউনের পরিণতি

আশুরার দিন হযরত মূসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে সমুদ্র পার হয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে মুক্তি পান এবং ফেরাউন তার দলবলসহ সবাই নীল নদে ডুবে মারা যায়📍

হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি

আল্লাহর স্মরণে তাওবা করে হযরত ইউনুস (আঃ) আশুরার দিনে মাছের পেট থেকে উদ্ধার পান! এটি ইখলাসের একটি অনেক বড় দৃষ্টান্ত📍


হযরত ইয়াকুব (আঃ) পুত্র ফিরে পান

দীর্ঘদিন পর হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইউসুফ (আঃ) কে ফিরে পান! এটি দোয়া আর ধৈর্যের অনেক বড় একটি প্রমাণ📍


হযরত ঈসা (আঃ) আকাশে উত্তোলন

এই দিন হযরত ঈসা (আঃ) কে জীবিত অবস্থায় আকাশে তুলে নেওয়া হয় বলে অনেক মত রয়েছে! এটি তার বিশেষ একটি সম্মান📍

➡️ কারবালার হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি

তবে ইসলামী ইতিহাসে আশুরার দিনে সবচেয়ে করুণ ঘটনা ঘটেছিল হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরে! নবী করিম (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) এর নাতি হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এবং তার পরিবার আর সঙ্গীরা ইয়াজিদের বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে শাহাদাত বরণ করেন।

👉 এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে ত্যাগ আর সাহসের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে রয়ে গেছে📍



📢 আশুরার দিনে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য ইসলামিক ঘটনাগুলোর মধ্যে উপরে উল্লিখিত মূল ঘটনা সবচেয়ে প্রসিদ্ধ আর প্রমাণিত হাদিস নির্ভর!
তবে: কিছু অতিরিক্ত ঘটনা বিভিন্ন ইসলামি ইতিহাস আর তাফসিরে উল্লেখ রয়েছে! যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ফিকহ ও ইতিহাসবিদদের মধ্যে কিছু মতভেদ আছে! তবে তা নির্ভরযোগ্য তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য📍


হযরত ইউসুফ (আঃ) কে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়

অনেক বর্ণনায় আছে যে: আশুরার দিনে হযরত ইউসুফ (আঃ) কে মিসরের কারাগার থেকে মুক্ত করা হয় এবং রাজপ্রাসাদে নেওয়া হয়! যা সত্যের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে উদাহরণ📍

হযরত সুলাইমান (আঃ) কে রাজত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়

কিছু বর্ণনায় বলা হয়েছে যে: হযরত সুলাইমান (আঃ) যখন রাজত্ব হারিয়েছিলেন পরে তিনি আশুরার দিনই তা ফিরে পান! যা আল্লাহর পরীক্ষা আর পুরস্কারের বড় একটি নিদর্শন📍

হযরত নবী করিম (সাঃ) মদিনায় এসে ইহুদিদের আশুরা পালন করতে দেখেন

অনেক বর্ণনায় আছে রাসূল (সাঃ) মদিনায় এসে দেখেন ইহুদিরা আশুরায় রোজা রাখছে! তখন তিনি বলেন: আমরা মূসার অনুসারী হওয়ার অধিক বেশি হকদার। তাই তিনি নিজে এই দিনে রোজা রাখতেন এবং তার উম্মতদেরকে অর্থাৎ আমাদেরকে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দিতেন📍

জান্নাত আর জাহান্নাম সৃষ্টি হয়

কিছু ইসলামী ইতিহাসবিদদের মতে: আশুরার দিনেই জান্নাত আর জাহান্নাম সৃষ্টি করা হয়! কিন্তু এটি সহিহ হাদিস দ্বারা পুরোপুরি প্রমাণিত নয় তবে ইতিহাসে এটি প্রচলিত আছে📍

👉 এইসব ঘটনা বিশেষ করে হযরত মূসা (আঃ) এর ঘটনা, কারবালা, হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদাত বরণ সহিহ হাদিস ও ইসলামি ঐতিহ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত!
অন্যান্য ঘটনাগুলো বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যায় তবে: বিশ্বাসযোগ্যতা ভালো করে যাচাই করে জেনে নেওয়া হলো সবচেয়ে উত্তম📍



আশুরার গুরুত্ব আর আশুরার তাৎপর্য

The importance and significance of Ashura ➤

ইসলামী দৃষ্টিকোণে মহান দিন📍
আশুরা অর্থাৎ মহররমের ১০ তারিখ ইসলামী ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনে বহু ঐতিহাসিক আর আধ্যাত্মিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বড় শিক্ষা ও ইমান দৃঢ় করার সুযোগ সৃষ্টি করে।

বিশেষ করে: হযরত হোসাইন (রাঃ) এর কারবালায় শাহাদাত ইসলামের ইতিহাসে সত্য, ন্যায়, ধর্য্য আর ত্যাগের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

রাসূল (সাঃ) আশুরার রোজার গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বলেছেন: এই রোজা বিগত বছরের গুনাহ মোচনের মাধ্যম! আশুরা মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি আর তাকওয়া বৃদ্ধি এবং আল্লাহর প্রতি ধৈর্য ও ভরসা রাখার এক মহান উপলক্ষ। কারবালার শিক্ষা হলো: ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় থাকা এবং অন্যায়ের সাথে কখনো কোনো পরিস্থিতিতে আপস না করা।

📢 আশুরার তাৎপর্য কেবল শোক নয় বরং এটি একটি শিক্ষা আর আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ঈমান দৃঢ় করার জন্য একটি দিন📍

📢 মুসলিম সমাজের উচিত এই দিনকে যথাযথভাবে পালন করে এর শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়ন করা📍



আশুরায় পালনীয় কাজসমূহ

Things to do on Ashura ➤
আশুরার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। রাসূল (সাঃ) এ দিন রোজা রাখতেন এবং উম্মতদের ৯ আর ১০ বা ১০ আর ১১ মহররম রোজা রাখার নির্দেশ দেন। এই দিন বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, বেশি বেশি ইস্তেগফার, বেশি বেশি নফল নামাজ, বেশি করে দোয়া আর জিকির করা উত্তম।

এছাড়া: গরিব দুঃখীদের মাঝে দান সদকা করা আর আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা এবং সদাচরণ করা এই দিনের অন্যতম শিক্ষা।

📢 আশুরা উপলক্ষে শোক পালন বা মাতম করা ইসলামে নিষিদ্ধ! বরং এই দিন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আর আত্মশুদ্ধি এবং তাকওয়া অর্জনে মনোযোগ দেওয়া উচিত📍

📢 আশুরার প্রকৃত মর্যাদা রক্ষা করতে হলে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিকভাবে আমল করাই হলো সর্বোত্তম📍



আশুরার ভুল রীতিনীতি

Wrong customs of Ashura ➤
আশুরার প্রকৃত শিক্ষা হলো আত্মত্যাগ আর ধৈর্য এবং তাকওয়া। কিন্তু অনেক জায়গায় এই দিনকে কেন্দ্র করে কিছু ইসলাম বিরোধী রীতিনীতি প্রচলিত রয়েছে! যেমন: শোক প্রকাশে মাতম করা! শরীর কাটা! কষ্ট দেওয়া! রাস্তায় শোক মিছিল করা! কান্না করে চিৎকার করা ইইত্যাদি এসব কাজ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

রাসূল (সাঃ) এসব কাজকে জাহিলি আমলের অংশ বলে কঠোরভাবে বারণ করেছেন।

আশুরা হলো ইবাদত ও শিক্ষা গ্রহণের দিন। শোক বা কৃত্রিম আচার পালনের দিন নয়। তাই মুসলমানদের উচিত এসব কুসংস্কার আর বিদআত থেকে দূরে থেকে কোরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী পবিত্র আশুরা পালন করা📍


👉 
আশুরা ইসলামী ইতিহাসের এক অনন্য আর শিক্ষনীয় একটি দিন। এই দিনে ঘটেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা! যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো হযরত হোসাইন (রাঃ) এর পরিবার সহ কারবালায় শাহাদাত বরণ করার ঘটনা। আশুরা আমাদের শিখায় সত্য, ত্যাগ, ধৈর্য, আল্লাহর প্রতি আস্থা বিশ্বাস রাখতে📍

👉 এই দিন নফল রোজা রাখা আর নফল ইবাদত করা ইত্যাদি আত্মশুদ্ধির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তবে: ভুল রীতিনীতি আর বিদআত থেকে বিরত থেকে কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করাই প্রকৃত আশুরার শিক্ষা📍

👉 মুসলমানদের উচিত এই দিনের প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবন করে জীবন গঠনে তা বাস্তবায়ন করা📍





FAQ আশুরা সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন আর উত্তর

আশুরা কবে পালিত হয়?
আশুরা পালিত হয় ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে। এটি হিজরি ক্যালেন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ দিন যা: কারবালার ঘটনা আর অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিতে মুসলমানদের কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন।

আশুরার রোজার ফজিলত কতটুকু?
আশুরার রোজা রাখার ফজিলত অত্যন্ত বেশি। রাসূল (সাঃ) বলেছেন: আশুরার দিনে রোজা রাখলে আগের বছরের সকল ছোট গুনাহসমূহ বা সগিরা গোনাহসমূহ আল্লাহ মাফ করে দেন। আশুরা হলো: আত্মশুদ্ধি আর তাকওয়া বৃদ্ধি এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

আশুরায় কী কী করা সবচেয়ে ভালো?

আশুরায় রোজা রাখা হলো: সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল। পাশাপাশি বেশি বেশি ইস্তেগফার, দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দান সদকা করা এবং আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করা উত্তম। রাসূল (সাঃ) আশুরার দিনে ৯ বা ১০ অথবা ১০ বা ১১ তারিখ রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

আশুরায় কোন ভুল কাজগুলো পরিহারযোগ্য?

আশুরায় মাতম করা, শরীর কাটা, শোক মিছিল করা, চিৎকার করা, কান্নাকাটি করা বা নিজেকে কষ্ট দেওয়া ইসলামে হারাম। এসব জাহিলি প্রথা আর বিদআত থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি। আশুরা শোক নয়! বরং আশুরা ইবাদত আর ধৈর্য এবং ত্যাগের শিক্ষা গ্রহণের একটি দিন।

আশুরা মুসলিমদের জন্য কেনো গুরুত্বপূর্ণ?

আশুরা মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ: এ দিনে হযরত মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং হযরত হোসাইন (রাঃ) কারবালায় শহিদ হন। এটি সত্য আর ত্যাগ এবং ধৈর্যের প্রতীক। এই দিন নফল রোজা, নফল নামাজ, নফল ইবাদত আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে পালন করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post