জেনে নিন 36 জুলাই আয়োজনে কী কী উদযাপন করা হয়েছে আর ভবিষ্যতে কী কী করা হবে
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট যা অনন্য প্রতীকী দিন বা তারুণ্যের উৎসবের দিন হিসেবে পরিচিত! ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ত্যাগ, সাহস, গণতান্ত্রিক চেতনার বিজয় হয়েছে তা আজ জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মরণসভা, কনসার্টে মুখরিত হয়ে উঠে এই দিনটি। শুধু বর্তমান উদযাপনই নয় ৩৬ জুলাই ভবিষ্যতের জন্য এক প্রতিশ্রুতির বার্তা বহন করে যা সংবিধান সংশোধন, শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ, মুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক চেতনার পুনর্জাগরণে। আজকের এই ব্লগে আমরা জানব ৩৬ জুলাই উদযাপনের গুরুত্ব আর আজকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান উদযাপন আর আগামী দিনে কী কী পরিকল্পনা বা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত!
আজকের ছয়ত্রিশ জুলাই উদযাপন
ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠান
২০২৫ সালের প্রথমবারের মতো ৩৬ জুলাইকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ছিলো লাখো মানুষের ভিড়ে সরব। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়ঃ সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী আর দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড Artcell, Shunno, Warfaze দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে আর ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেছেঃ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামি শিল্পীগোষ্ঠী কলরব। এরপরঃ July Declaration পরিবেশনাঃ বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস আনুষ্ঠানিকভাবে July Declaration ঘোষণা করেন আর এতে করে শহীদদের স্মৃতি, গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণ, সাংবিধানিক সংস্কারের রোডম্যাপ উল্লেখ করা হয়। ড্রোন শো আর কনসার্ট পরিবেশনাঃ সন্ধ্যা থেকে আকাশ আলোকিত হয় ড্রোন শোর মাধ্যমে এরপরঃ রাত ৮টায় Artcell এর কনসার্ট ছিলো দর্শকদের প্রধান আকর্ষণ।জেলা আর পল্লীভিত্তিক ছয়ত্রিশ জুলাই উদযাপন
৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ২০২৫ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে জেলা আর পল্লীভিত্তিক আয়োজন ছিলো অত্যন্ত উৎসবমুখর যেমনঃ রাজশাহী, কুমিল্লা, বাগেরহাট, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ বা দোয়া মাহফিল বা আলোচনা সভা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোতে চিত্রাঙ্কন আর রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করে শিশুদের মধ্যে মুক্তি আর গণতন্ত্রের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রামীণ এলাকায় মসজিদ, মন্দির সামাজিক সংগঠনগুলো স্বাধীনতার গান বা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন বা স্মরণসভায় অংশ নেয়। এভাবেই ৩৬ জুলাই সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে আর শহর বা গ্রাম মিলিয়ে একটি অনন্য জাতীয় উৎসবে রূপ নেয়।ছয়ত্রিশ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস আয়োজনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা আগামীতে গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি হিসেবে কী নিয়েছে সরকার
৩৬ জুলাইকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ভবিষ্যত গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন পরিকল্পনা মূলতঃ গণতন্ত্র আর শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রচারে নিবদ্ধ। আগামী বছর থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি চালু করা হবে যেখানেঃ আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, শিল্প বা সংগীত প্রতিযোগিতা, ড্রোন শো ইত্যাদি আরো অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিটি জেলায় শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং শহীদ পরিবারের জন্য পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হবে। পাশাপাশিঃ July Declaration কে সংবিধানে যুক্ত করে গণতান্ত্রিক চেতনা চিরস্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াঃ স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন আর গ্রামীণ পর্যায়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ৩৬ জুলাইকে দেশের নতুন গণতান্ত্রিক প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।আর এই পরিকল্পনা বা কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে সফল হলে দিনটি কেবল স্মরণ দিবস নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য রূপকল্প হয়ে উঠবে।