জেনে নিন লাভ আইল্যান্ডের ইতিহাস আর রহস্য

জেনে নিন লাভ আইল্যান্ড বা ভালোবাসার আইল্যান্ডের ইতিহাস আর রহস্য

লাভ আইল্যান্ড >>> Love Island বা ভালোবাসার দ্বীপ >>> হলো এমন একটি রিয়্যালিটি শো যা প্রেম বা প্রতিযোগিতা বা নাটকের অনন্য সমন্বয়! 2015 সালে যুক্তরাজ্যে শুরু হওয়া এই শো দ্রুতই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে! সুন্দর ভিলায় অবিবাহিত প্রতিযোগীরা একত্রে বসবাস করে ভালোবাসা খোঁজেন আর অংশ নেন নানা চ্যালেঞ্জে আর টিকে থাকার জন্য নির্ভর করেন দর্শকের ভোটের উপর! প্রতি সিজনে নতুন মোড় বা চমকপ্রদ ঘটনা এবং গোপন কৌশল দর্শকদের মুগ্ধ রাখে। প্রেমের গল্পের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কৌশল, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, রহস্য ইত্যাদি যেটা ভালোবাসার আইল্যান্ডকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।



লাভ আইল্যান্ডের সূচনা কীভাবে হয়েছে?

ভালোবাসার আইল্যান্ডের প্রথম প্রচারণা হয় 2015 সালে যুক্তরাজ্যের ITV2 চ্যানেলে মূলতঃ একটি রিয়্যালিটি ডেটিং শো যেখানে অবিবাহিত প্রতিযোগীরা বিলাসবহুল ভিলায় একসাথে থেকে প্রেম বা ভালোবাসা খুঁজে বেড়ান! তার আগে 2005 সালে এরকম সেলিব্রিটি সংস্করণ হয়েছিলো তবেঃ বর্তমান লাভ আইল্যান্ড ফরম্যাটে সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। শুরুর ধারণা ছিল দর্শকদের রিয়েল টাইমে প্রেম, প্রতিযোগিতা, নাটকের মিশ্রণ দেখানো। প্রথম সিজনেই এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক বৃদ্ধি পায় যা পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেমের খোঁজ, নাটকীয় মোড়, পাবলিক ভোট এই তিনের সমন্বয়ই লাভ আইল্যান্ডের সাফল্যের মূল রহস্য রয়েছে।



লাভ আইল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত?

ভালোবাসার আইল্যান্ড মূলতঃ বিখ্যাত এর রোমান্স আর নাটকীয়তা বা অপ্রত্যাশিত মোড়ের জন্য। বিলাসবহুল ভিলায় প্রতিযোগীরা প্রেম খোঁজার পাশাপাশিঃ চ্যালেঞ্জ, রি কাপলিং, পাবলিক ভোটের মাধ্যমে টিকে থাকার লড়াই করে থাকে। প্রতিটি সিজনে সম্পর্ক ভাঙা গড়া আর চমকপ্রদ টুইস্ট বা দর্শকের সরাসরি ভোট শো টিকে আরো অনেক উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় বা তারকাখ্যাতি পাওয়া প্রতিযোগী এবং বিনোদনের পাশাপাশিঃ সামাজিক আচরণ পর্যবেক্ষণের সুযোগ ইত্যাদি সব মিলিয়ে এটিকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি ডেটিং শো তে পরিণত করেছে।



লাভ আইল্যান্ডের নিয়ম কি?

ভালোবাসার আইল্যান্ডের প্রধান নিয়ম হলোঃ প্রতিযোগীদের বিলাসবহুল ভিলায় থাকতে হয় এবং সর্বদা জোড়ায় >>> Couple থাকতে হয়! প্রথম দিনে কাপলিং হয় পরে নির্দিষ্ট সময় পরপর রি কাপলিং অনুষ্ঠিত হয়! যারা সিঙ্গেল হয়ে যায় তারা শো থেকে বাদ পড়ে যায় আর নিয়মিত চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে হয় এবং দর্শকের ভোটের মাধ্যমে প্রিয় কাপলদের বাঁচানো হয়। শো চলাকালীন বাইরে কারো সাথে যোগাযোগ করা নিষিদ্ধ এবং ভিলার বাইরে যাওয়া যায় না। শেষ পর্যন্ত পাবলিক ভোটে বিজয়ী কাপল নির্ধারিত হয় যারা নগদ পুরস্কার আর জনপ্রিয়তা বা বিভিন্ন ধরনের সম্মাননা পায়।



লাভ আইল্যান্ডকে মানুষ কিভাবে দেখে?

মানুষ ভালোবাসার আইল্যান্ডকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে! কেউ এটিকে খাঁটি বিনোদন, রোমান্স, মজার উৎস হিসেবে উপভোগ করে আবার কেউ কেউ সমালোচনা করে এটিকে সাজানো নাটক বা অতিরিক্ত ড্রামা হিসেবে বিবেচিত করে। তরুণ দর্শকদের কাছে এটি সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, প্রতিযোগিতার রঙিন মিশ্রণ আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা শো এর মুহূর্তগুলো নিয়ে মিম, রিভিউ, বিতর্কে মাতেন। কিছু দর্শক প্রতিযোগীদের ব্যক্তিত্ব আর আচরণ থেকে শিখতে চেষ্টা করেন আবার কেউ শুধু চমকপ্রদ টুইস্ট আর গ্ল্যামারের জন্য দেখে। সব মিলিয়ে এটি প্রেমের খেলা আর নাটকের একটি বিনোদনমূলক অভিজ্ঞতা।



লাভ আইল্যান্ডের ভালো দিক আর লাভ আইল্যান্ডের খারাপ দিক কেমন?

প্রেমের আইল্যান্ডের ভালো দিক হলোঃ এটি রোমান্স বা বিনোদন বা চমকের দুর্দান্ত মিশ্রণ দেয়। দর্শকরা সম্পর্কের জটিলতা, দলগত খেলা, মানব আচরণ ইত্যাদি কাছ থেকে দেখতে পান। শো থেকে অনেকেই জনপ্রিয়তা আর নতুন ক্যারিয়ার সুযোগ পান। তবেঃ প্রেমের আইল্যান্ডের খারাপ দিক হিসেবের মধ্যে আছে মানসিক চাপ, ক্যামেরার সামনে সারাক্ষণ থাকা, সম্পর্ক ভাঙা গড়ার নাটক ইত্যাদি যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য কঠিন হতে পারে। এছাড়াঃ কিছু দর্শক মনে করেন এটি অতিরিক্ত সাজানো এবং প্রকৃত প্রেমের পরিবর্তে খ্যাতি অর্জনের প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়ায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Smart Blog Zone Offers

Smart Blog Zone Offers