জেনে নিন অতিরিক্ত ঘুম কমানোর ঘরোয়া উপায় আর প্রয়োজনীয় সকল গাইডলাইন

View OF The Bearded Man IS sleeping deeply IN bed with his mouth open and sowing where indicating possible signs OF snoring OR Excessive Sleeping


আমাদের বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যায় ভোগে থাকেন !!!!! আবার আশ্চর্যজনকভাবে অনেকের সমস্যা ঠিক উল্টো মানে অতিরিক্ত ঘুম বা অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমালে শরীর অলস হয়ে পড়ে আর মনোযোগ কমে যায় বা পড়াশোনা বা কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া কিন্তু ঠিক নয়। আমাদের আজকের কনটেন্টে আমরা জানবোঃ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ আর অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার ঘরোয়া উপায় আর অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার কিছু কার্যকর গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত।


অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে আর কী কী সমস্যা তৈরি করে 🤔🤔🤔🤔🤔🤔

অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীর আর মনের জন্য নীরব ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমালে শরীর অলস হয়ে পড়ে আর কাজের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে যায় সাথে মনোযোগ টিকিয়ে রাখা অনেক বেশি কঠিন হয়। দীর্ঘদিন যাবত অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস থাকলে পড়াশোনা আর কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে পাশাপাশিঃ শারীরিক নড়াচড়া কম হওয়ার ফলে শরীরের উজন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, সারাদিন যাবত ক্লান্তি ক্লান্তি অনুভব করার মতো সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক দিক থেকে অতিরিক্ত ঘুমের ভাব সমস্যা অনেক বেশি ক্ষতিকর কারণঃ অতিরিক্ত ঘুম মনমরা ভাব আর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। তাই সুস্থ আর কর্মক্ষম জীবনযাপনের জন্য পরিমিত আর নিয়মিত পরিমাণ ঘুম অত্যন্ত বেশি মূল্যবান বিষয়।


কোন সময় থেকে অতিরিক্ত ঘুমের ভাব দেখা দেয়

🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔

অতিরিক্ত ঘুমের ভাব সাধারণত দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে বেশি অনুভূত হয়, তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে সকালে পর্যাপ্ত সময় ঘুমানোর পরও ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয় এবং তখন থেকেই ঝিমুনি বা ভারী ভাব শুরু হয়। এটি অনিয়মিত ঘুমের রুটিন বা গভীর ঘুমের অভাবের কারণে হতে পারে।।দুপুরের দিকে, বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীরের শক্তি হজম প্রক্রিয়ায় ব্যয় হওয়ায় ঘুমের ভাব বেড়ে যায়। এই সময় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা শারীরিক নড়াচড়া কম থাকলেও অতিরিক্ত ঘুম অনুভূত হয়। এছাড়া রাতে দেরি করে ঘুমানো, অতিরিক্ত মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার এবং মানসিক চাপের কারণে রাতের ঘুমের মান নষ্ট হলে পরদিন সকাল থেকে সারাদিনই ঘুমঘুম ভাব থাকতে পারে। তাই দিনের যে কোনো সময় অতিরিক্ত ঘুমের ভাব দেখা দিলেও এর পেছনে জীবনযাত্রার অভ্যাস বড় ভূমিকা রাখে।


অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব কিসের লক্ষণ হতে পারে

🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔

অনেক সময় অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব শরীরের ভেতরের কিছু সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত আর মানসম্মত ঘুমের অভাব। অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি বা রাতে দেরি করে ঘুমালে দিনের বেলায় ঝিমুনি দেখা দেয় তাছাড়াঃ শারীরিক পরিশ্রমের অভাব আর ঘেয়েমিপূর্ণ জীবনযাত্রা অতিরিক্ত ঘুমভাব তৈরি করতে পারে। পুষ্টির ঘাটতি বিশেষ করেঃ আয়রন বা ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে আর ঘুম ঘুম ভাব আসে। মানসিক চাপ যেটা উদ্বেগ বা দীর্ঘদিনের মনমরা ভাব অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব সমস্যার কারণ হতে পারে। কখনো কখনো হরমোনজনিত সমস্যা বা দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির কারণে ঘুম ঘুম ভাবের অনুভূতি দেখা দেয়। তাই নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব থাকলে সেটিকে অবহেলা না করে নিজের জীবনযাত্রা আর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি।


অতিরিক্ত ঘুমের সম্ভাব্য সকল কারণসমূহ ?????

অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার পেছনে কয়েকটি সাধারণ
কারণ থাকতে পারে যেটা নিচে উল্লেখ করা রয়েছেঃ
✅ অনিয়মিতভাবে ঘুমের রুটিন থাকার কারণ
✅ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণ
✅ অতিরিক্ত মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহারের কারণ
✅ মানসিক চাপ বা অন্যান্ন সকল সমস্যার কারণ
✅ অসমতল খাদ্যাভ্যাস বা অনিয়মিততার কারণ
✅ পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক না ব্যবহারের কারণ

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর ঘরোয়া উপায় ?????

🟠 নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো আবার ঘুম থেকে উঠা
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আর সকালে
সেই নির্দিষ্ট সময়েই উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
ছুটির দিনে সেই রুটিন কোনোভাবে ভাঙ্গা যাবে না
🟠 নিয়মিত প্রতিদিন সকালে সূর্যালোক গ্রহণ করা
সকালের সূর্যের আলো শরীরের জৈবঘড়িকে সক্রিয়
করে যা অতিরিক্ত ঘুমের ভাব কমাতে সাহায্য করে
🟠 নিয়মিত প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা বা হাঁটা
প্রতিদিন অন্তত 20 থেকে 30 মিনিট হাঁটা আবার
যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করলে শরীর চাঙ্গা
থাকে সাথে কিন্তু শরীরের সব অলসতা কমে যায়
🟠 চা, কফি, নাস্তা পরিমিত পরিমাণে গ্রহন করা
সকালে চা, কফি, নাস্তা খেতে পারেন তবেঃ বেশি
নয় আর সেই সব খাবার সন্ধ্যায় না খাওয়া ভালো
🟠 খাবারে সুষম খাদ্য রাখা আর খাদ্যাভ্যাস করা
অতিরিক্ত ভাজা জাতীয় খাবার বা চিনি জাতীয়
সব রকমের খাবার কমিয়ে শাকসবজি, ফল, ডাল,
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে
🟠 দিনে বেশি সময় ঘুমানোর অভ্যাসটা কম করা
দুপুরে ঘুমাতে হলে 20 থেকে 30 মিনিটের বেশি নয়
সেটা না হলে রাতের বেলা কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম হবে না


অতিরিক্ত ঘুম কমানোর জন্য সঠিক গাইডলাইন

🕒 নিয়মিত প্রতিদিন 7 থেকে 9 ঘণ্টার বেশি সময়
না ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে সেটা মাথায় রাখবে
📱 ঘুমানোর অন্তত 1 ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল,
ডেক্সটপ, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
🛏️ বিছানায় ঘুমিয়ে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না
🧠 দিনের বেলায় কাজের ছোট তালিকা তৈরি করা
💧 শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা


অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব হলে ডাক্তারের পরামর্শ কখন নিতে হবে ?????????????????????

যদি কোনো ব্যক্তি পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরো সারাদিন অতিরিক্ত ঘুমঘুম ভাব অনুভব করেন তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন। নিয়মিত রুটিন মেনে চলার পরো যদি দীর্ঘ সময় যাবত অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা থাকে সেটি কিন্তু সতর্কতার লক্ষণ আবার ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া বা পড়াশোনা বা দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া আর স্মৃতিশক্তি দুর্বল মনে হলে কিন্তু অবশ্যই তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত পাশাপাশিঃ অতিরিক্ত ঘুমের সঙ্গে মাথাব্যথা, দুর্বলতা, মেজাজের পরিবর্তন দেখা দিলে কিন্তু খুব বেশি দেরি না করাটাই সবচেয়ে ভালো। সেই সব ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সমস্যার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় আর প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা বা প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ পাওয়া যায়।



অতিরিক্ত ঘুম বা সারাদিন ঘুম ঘুম ভাবকে অনেকেই তুচ্ছ সমস্যা মনে করলে বাস্তবে সেটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, মনোযোগ, কর্মক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনিয়মিত ঘুমের রুটিন আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাব সাথে অতিরিক্ত সকল স্মার্ট ডিভাইস স্ক্রিন ব্যবহার করা ইত্যাদি সবকিছু মিলেই সেই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তবেঃ ভালো দিক হলোঃ অতিরিক্ত ঘুম সমস্যার কিছু সহজ ঘরোয়া অভ্যাস আর সচেতনতা থাকলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক রাখা আর সকালের আলো গ্রহণ করা বা ব্যায়াম করা বা সুষম খাদ্য গ্রহণ করা ইত্যাদি সেই ক্ষেত্রে মূল্যবান ভূমিকা রাখে পাশাপাশিঃ দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। সুস্থ, সক্রিয়, প্রোডাক্টিভ জীবনযাপনের জন্য পরিমিত আর মানসম্মত ঘুমের বিকল্প নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Smart Blog Zone Offers

Smart Blog Zone Offers